ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজনের প্রথম পর্বের সূচনা হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে।
সকাল হতেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত এবং দেশের নানা জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানায়, মানুষের অংশগ্রহণ এতটাই ব্যাপক যে আশপাশের এলাকা পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ভোর থেকেই উদ্যানে এবং আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা একই ধরনের ইউনিফর্মে সজ্জিত হয়ে আগতদের প্রবেশপথ ও অবস্থান নির্ধারণে সহায়তা করছেন, যাতে ভিড় সামলানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হয়।
এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য সাত দফা দাবি উপস্থাপন ও জনমত গঠন করা। দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠন,
-
গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা,
-
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন,
-
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র কার্যকর করা,
-
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন,
-
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন,
-
প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা—যাদের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি।
সমাবেশে উপস্থিত নেতারা বলছেন, জনগণের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় এবং এসব দাবি এখন জাতীয় স্বার্থের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।