রথযাত্রা বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পন্ডিত গধাদর দাস ব্রহ্মচারী।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের ২৭তম বিভাগীয় কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন।
এছাড়া রথযাত্রা উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত এবং সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য রথযাত্রায় একদিনের সরকারি ছুটি দাবি করেন এবং ৭ জুলাই রথযত্রার দিন এইচএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার সূচি পরিবর্তনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারীর উপস্থাপনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইসকন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, নন্দনকানন ইসকন রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই সেবাশ্রমের সহ সভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, সদস্য অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পন্ডিত গধাদর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ইসকনের মাধ্যমে বাংলার কৃষ্টি, প্রথা, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐহিত্য সারাবিশ্বে নগরাদি গ্রামে প্রচারিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার গর্বভ’মি এই বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎসব সমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে। এর ফলে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সর্বপ্রকার অশুভশক্তি শতবার মাথাচাড় দিয়ে উঠার চেষ্টা করেও বারবার দলিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ভারতবর্ষের বাইরে প্রথম ১৯৬৭ সালের ৯ জুলাই আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে রথযাত্রার শুভ সূচনা করেন। শ্রীল প্রভুপাদ রথযাত্রাকে পৃথিবীর বড় বড় সব শহরে ছড়িয়ে দিয়েছেন। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ সানফ্রান্সিসকো, নিউইয়র্ক, লন্ডন, জাপান, প্যারিস, চীন,রোম, বার্লিন,মস্কো, বেইজিং, কলকাতা, দিল্লি, জেনেভা,ঢাকা, চট্টগ্রামসহ প্রত্যেকটি বড় বড় শহরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে। এটি এখন বিশ^ব্যাপী সার্বজনীন একটি উৎসব।
তিনি বলেন, ৭ জুলাই নগরীর ডিসি হিল থেকে রথযাত্রা শুরু হয়ে চেরাগী, লালদিঘী, কোতোয়ালি, নিউ মার্কেট, বোর্স ব্রাদার্স হয়ে নন্দনকানন গৌর নিতাই আশ্রমে এসে শেষ হবে। একইভাবে ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার নন্দনকানন, বোস ব্রাদার্স হয়ে একই পথে নন্দনকানন রাধা মাধব মন্দিরে ফিরবে। এসব অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।