বিপ্লব চৌধুরী, চট্টগ্রাম থেকে : হালদা নদী পৃথিবীল একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। এই নদীকে বাঁচাতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু একটি চক্র সেই পদক্ষেপ বা আইন অমান্য করে আহরণ করছে মাছের পোনা।
সূত্র জানায়, হালদা নদী হতে কোন প্রকার মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা বা শিকার করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এছাড়া হালদা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ১৭টি খালে প্রজনন মৌসুমে ফেব্রুয়ারি হতে জুলাই মাস পর্যন্ত ছয় মাস মাছ ধরা নিষেধ।আর হালদা সংলগ্ন চারটি নদী যথা কর্ণফুলি, শিকলবাহা, চাঁদখালী এবং সাঙ্গুী নদীতে মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পাঁচ মাস মাছ ধরা নিষেধ। এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে বিলবোর্ডও দিয়েছে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজন্নক্ষেত্র উন্নয়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কমিটি।
কিন্তু এসব আইন অমান্য করে মাছ ধরা এবং পোনা আহরণের কাজ করছে একটি চক্র। দক্ষিণ মোহরা জেলে পাড়া এলাকায় এ রকম চক্রের খবর পাওয়া গেছে। তারা শুধু মোহরা নয় রাউজান ও হাটহাজারী থেকেও পোনা আহরণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশ মেনে মাছ ও পোনা আহরণ না করলেও একটি চক্র নিয়মিত সেই কাজ করছে। তারা হলেন, কালুরঘাট দক্ষিণ মোহরা কৈবর্ত্য পাড়া এলাকার আদিনাথ দাশের ছেলে তাপস দাশ, রায়মোহন দাশের ছেলে শ্যামল দাশ, সাধন দাশৈর ছেলে রিটন দাশ, সুশীল দাশের ছেলে রঞ্জন দাশ, অজিত দাশের ছেলে দ্বিজন দাশ, আদিনাথ দাশের ছেলে কৃষ্ণ দাশ, সাধন দাশের ছেলে রুবেল দাশ ও জুয়েল দাশ। তারা চিংড়ি পোনা আহরণের নামে অন্যান্য প্রজাতির মাছ ও পোনা ধরছে বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। এই সংক্রান্ত কিছিু ভিডিও হাতে এসেছে।একটি সূত্র বলছে, নিয়মিত মোহরা থেকে চিংড়ি পোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে তপন দাশ নামে এক পোনা সংগ্রহকারীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেনি। পরে স্ত্রী ও ছেলে কথা বললেও সেটি তপন দাশের নম্বর নয় বলে জানান।
এদিকে ওই এলাকার লিটন দাশ জানান, তপন দাশ ও তিনি আগে পোনা আহরণ করলেও এখন তিনি সেই কাজ করেন না। বর্তমানে গাড়ির পার্টসের দোকান করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।